বিজ্ঞাপন

বহুরূপীরা কিভাবে কলুষিত সত্তাকে টুপি দিয়ে আবৃত করে?

টুপিকে বর্তমান সমাজে অতি মর্যাদা সম্পন্ন একটি আদর্শের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যাকে কেন্দ্র করে ভক্তি ও শ্রদ্ধা কোনটার কমতি আছে এমন লোক পাওয়া খুবই দুষ্কর। 

সহজ করে বলতে গেলে টুপি পরে এমন মানুষদের ভালো মানুষ বলেই সবাই জানে এবং বুঝে। কেন? এমন প্রশ্ন করলে উত্তর হিসেবে এটাই বলবে, টুপি পরে এমন মানুষগুলো খারাপ কাজে তেমন লিপ্ত হয় না।

প্রতীকী ছবি : সত্তা।

এবার আসি, কলুষিত সত্তাকে কিভাবে টুপির ভিতরে আবৃত করে রাখা হয়। এটা বুঝতে হলে আগে আমাদের সত্তা সম্পর্কে জানতে হবে। তাই চলুন সত্তা বিষয়টিকে একটু জানার চেষ্টা করি।

সত্তা হল যেকোন কিছু যার পৃথক এবং আলাদা অস্তিত্ব আছে। তবে এখানে অস্তিত্ব, পার্থিব নাও হতে পারে। অর্থাৎ সত্তা বলতে জীবন্ত কিছু হতে হবে এমন কোন কথা নেই”।

কিছু দার্শনিক ঘরানা, বিশেষত দার্শনিক ঘরানাগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে সকল বিশেষ্য কোন না কোন অস্তিত্বশীল বস্তুকে নির্দেশ করে। পরবর্তীতে দার্শনিকরা বলেন যে বিশেষ্য সবসময় কোন বস্তু বা সত্তাকে নির্দেশ করে না, বরং কখনও কখনও কিছু বস্তু এবং তাদের মধ্যকার সম্পর্কের ধারণাও প্রদান করে। পরবর্তীতে মনকে কোন সত্তা হিসেবে উল্লেখ না করে ব্যক্তির মানসিক ঘটনাসমূহের একটি সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

প্রতীকী ছবি : মানুষের সত্তা।

অর্থাৎ মানুষের সত্তা হলো, মানুষের পৃথক এবং আলাদা অস্তিত্ব(রূপ)। এই সত্তাকে কিছু বহুরূপী মানব আলাদা করে চলে এবং প্রতিনিয়ত ভালো মানুষের ন্যায় অভিনয় করে যায়। অভিনয়ের ঝুড়ি যখন খালি হয়ে যায় ঠিক তখনই এরা কৌশলী হয়ে পরে এবং নিজের কলুষিত সত্তাকে টুপি দিয়ে আবৃত্ত করে ফেলে পরে টুপিওয়ালাদের নামে বদনাম দিতে শুরু করে।

এবার ঘটনাট বলা যাক, বহুরূপীরা কিভাবে কলুষিত সত্তাকে টুপি দিয়ে আবৃত করে। ঘটনাটি জয়পুরহাট জেলায়, আমরা দক্ষিণবঙ্গের তিনটি বিভাগের (বরিশাল খুলনা এবং কক্সবাজার) জেলে পরিবারের ২৫ জন যুবক পল্লী চিকিৎসকের ট্রেনিং এর জন্য এনডিসি'তে যাই, সরকারি অর্থায়নে যা বাস্তবায়ন করে এসডিএফ। 

 পল্লী চিকিৎসকের ট্রেনিংয়ে এনডিসি'তে

২৬ আগষ্ট ২০২৩ থেকে ক্লাস শুরু হলো রেগুলার ক্লাস করতে ছিলাম হাঠাৎ একদিন আমাদের ছাত্রাবাসের একটি রুমে চুরি হলো। তখন সবাই ক্লাসে ছিলাম খবর শুনে দ্রুত ছাত্রাবাসে ছুটে আসলাম এসে একদমই থমকে গেলাম। খুব বাজে ভাবে চুরি হয়েছে। 

চুরি হওয়া রুমের পাশের রুমেই জাহিদ নামের এক বড়ো ভাই খুব অসুস্থ ছিল উনি শুধু ক্লাস করেনি। তবে বলে রাখা ভালো চুরি হওয়ার একটু আগে ওই রুমেরই এক হুজুর আসছিল রুমে, তার কাছেই চাবি থাকে। মাঝখানে একবার  রুমে এসে আবার ক্লাসে গিয়ে আবার রুমে আসে ভোলার সেই কলুষিত সত্তাকে টুপির ভিতরে আবৃত করে রাখা হুজুর তখন রুমের তালাই দেখেনা। তবে তালা ভাঙ্গারো কোন আলামত দেখা যায়নি। মনে হয় হুজুর তালা দূরে কোথাও ফেলে দিছে।

সবাই থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কেউ কিছু বলে না, কারন তিনি একজন হুজুর তিনি এই কাজ কখনো করতে পারে না। এমন চিন্তা সবাই'ই করবে কারণ টুপি ওয়ালাদের প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধার দিক থেকে সাধারণ মানুষের একটা বড় ধরনের দূর্বলতা আছে।

আর তার প্রতি সবার দুর্বলতার কারন হলো ক্যাম্পাসে একটি মসজিদ ছিল সেখানে সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সহ জুমার নামাজ পড়াতো। তবে কেউ এটা জানতো না যে তিনি ইমামতির পাশাপাশি অনলাইন জুয়ায় আসক্ত প্রথমে আমিও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না পরে একদিন আমার সামনে পড়ে মেলবেটের(অনলাইন জুয়ার সাইট) এজেন্ট তিনি। 

তাই আমার সন্দেহ হলো হুজুর জুয়ার টাকা যোগানোর জন্যই চুরিতে লিপ্ত হয়েছে। এমন ভাবে চুরিটা করা হয়েছে যাতে অসুস্থ জাহিদ ভাইয়ের উপরে দোষারোপ যায়। আর তিনি টুপির জোরে বেঁচে যায়। 

জুয়ার বিষয়টা আমি ছাড়া আর কেউ জানতো না, আমার কাছে ধরা পড়ার পরে সবাইকে যেন না বলি এজন্য অনুরোধ করেছিল। পরে একটা সাধারণ মানুষ চুরির দায় নেবে এটা আমি মেনে নিতে পারছিলাম না তাই বাধ্য হলাম প্রকাশ করতে।

প্রকাশ করার পর কেউ বিশ্বাস করতেছে না আমার কথা, কারণ তাদের বিশ্বাস একজন টুপিওয়ালা মানুষ আর যাই করুক না কেন জুয়া খেলতে পারে না। কেউ কেউ বলছে এটা তুমি বানিয়ে বলছো সফিক। পরে হুজুর নিজেই স্বীকার করলো হ্যাঁ আমি জুয়া খেলি তবে আমি এই চুরি করি নায়। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

মেয়ে পরীক্ষার হলে, বাইরে অপেক্ষারত মায়ের মৃত্যু