দেখতে শুনতে মাশাল্লাহ দিনদার পরহেজগার-সালেহীন আল্লাওয়ালা প্রকৃতির মানুষ। টাকনু গীড়ার নিচে কখন কাপড় নামেনা, নামাজও কাযা হয়না। মসজিদে সবার আগে গিয়ে প্রথম কাতারে বসে। মুখে থাকে সব সময় মিষ্টি হাসি, সবার চোখের মনি তিনি, আর এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক!
এমনকি পাশের এলাকার দিনদার পরহেজগার লোকদের সাথেও তার সুসম্পর্ক রয়েছে, দ্বীনি কাজে সময় দেওয়ার সুবাদে। পাশাপাশি ভিলেজ পলিটি‘শিয়াল’দের সাথেও ভালো সম্পর্ক তার। এমন মানুষের অভাব আগের যুগে না থাকলেও বর্তমান যুগে কিন্তু ঠিকই রয়েছে।
এতোক্ষণ যার পরিচয় দিলাম তার সাথে আমারও বেশ ভালো সম্পর্ক বহুদিন ধরে, শুধু সম্পর্ক নয় তারে আমি তার শিরায় উপশিরায় চিনি। তাই তাকে নিয়ে কথা বলতে আমার মনে হয়না যে কোথাও ভুল হবে। ভুল না হওয়ার কারণ তার সমাজসেবা মুলক বহু কাজের নজির আমরা ইতোমধ্যে দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিশেষ করে অত্র এলাকার প্রবাসী ভাইদের স্ত্রীদেরকে সব ধরনের সেবাই দিয়ে থাকেন এই সমাজ সেবক। তবে হ্যা আমি তারে একটা নাম দিয়েছি ‘দরবেশ’। এর কারনও রয়েছে বহু সে ব্যাপারে একটু পরে বলবো।
ফিচার ইমেজ(এআই) |
প্রবাসী ভাইদের স্ত্রীদেরকে সেবা দিতে গিয়ে বহুবার লাঞ্ছিত হওয়ার রেকর্ডও রয়েছে এই দরবেশের। আর হ্যাঁ এই নারীখোর দরবেশ, বেশ কিছু অসাধু ভিলেজ পলিটি‘শিয়াল’দের ছত্রছায়ায় থেকে এহেন কাজ করে এর কারনেই বার বার রেহাই পেয়ে যায়।
দরবেশের কুকর্মের কথা বলতে গেলে, নিজের মেয়ের বয়সী মেয়েদেরকেও তিনি তার কামনা বাসনায় আপন-পিয়াসীর মতো ভোগ করতেও দ্বিধা করেনা। এইযে কিছু দিন আগে তার এক বন্ধুর মেয়ের বিয়ে হয় এবং দূর্ভাগ্যবশত মেয়েটির সংসার ভেঙে যায়। বন্ধুর মেয়ে তাকে কাকা বলে সম্বোধন করা সত্যেও মেয়েটির উপরে কুনজর পরে তার। এমনকি ওই মেয়েটি দরবেশর মেয়ের বয়সের চেয়েও কম বয়সী।
মেয়েটার বিবাহ বিচ্ছেদের পরে সরাসরি মেয়ের মায়ের কাছে কুপ্রস্তাব দেয়, যে ওরে আর বিয়ে দেওয়ার দরকার নাই, আমি ওরে একটা ঘর তুলে দিবো ওখানে থাকবে। আর মাঝে মধ্যে আমি যখন যাবো তখন আমারে একটু খুশি করবে তাহলেই সারাজীবন দেখাশোনা করবো। এই কথা শুনে বন্ধুর বউ তাকে জুতাপিটুনি দিয়ে তারিয়ে দেয়।
ঠিক তার কিছু দিন পরেই ওই দরবেশ তার বাবার বিবাহিত দ্বিতীয় স্ত্রী অর্থাৎ তার সৎ মায়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পরে এবং সৎ মাকে কুপ্রস্তাব দেয়। পরে এনিয়ে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে দরবেশের বাবা বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়।
মানুষের স্বভাব/চরিত্র পরিবর্তন হয়না। এরই দ্বারা বাহিকতায় তার কিছু দিন পরেই আবার এক প্রবাসীর বউয়ের যৌবন জ্বালা মিটানোর খায়েশ জাগে তার মনে এবং কৌশলে তাকে একাধিক বার ধর্ষণ করে, পরে এবার হাতে নাতে ধরা পরে তিনি। কথায় আছে না, পাপ বড়ো হয়ে গেলে ওই পাপ হেটে গিয়ে ধরা দেয় তার অবস্থাও এমন।
গ্রামের শালিস বৈঠক(এআই) |
যাহোক এবারও ওই পলিটি‘শিয়াল’রা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে এবং তার বিচারও করে দিয়েছে। ধর্ষণের বিচার অনতত এবার হবে খুবই কঠিন বিচার হবে। এলাকার লোকজন মুখে কুখে বলছিল ওরে এবার একদম সায়েস্তা করে দিবে। জীবনে আর এমন কাজ করবে বলে মনে হয় না। আপনারাও এটাই ভাবছেন হয়তো তাইনা? না এমনটা হয়নি আর এমনটা আশাও করা যায় না এই পলিটি‘শিয়াল’দের থেকে।
ধর্ষণের বিচার হলো দুটাে জুতার পিটুনি আর দুহাজার টাকা। টাকা দুহাজার আবার ওই পলিটি‘শিয়াল’রা মেরে দিয়েছে। এটাই আমাদের বর্তমান সমাজব্যবস্থা। চোর, নারীখোর দরবেশরা মিলে সমাজ পরিচালনা করলে তো এমনই হবে। আপনি এর প্রতিবাদ করতে যাবেন তখন এরা বলবে তুমি শিক্ষিত মানুষ তুমি এখানে এসো না।
সাধারণ মানুষও আছে তাদের নামে আপনার কাছে বিচার দিবে। আপনি যদি কোন পদক্ষেপ নিতে যান তখন দেখবেন মুহুর্তেই আপনার সাথে পল্টি লইবে এরা। তখন এই সাধারণ মানুষ গুলোর চিন্তা হয়ে যাবে অসাধারণ।
এই মানুষ গুলো সমাজে তাদের সম্মান বাচাবে আর এই জন্য দরকার হলে গোপনে তাদের মা বোনদেরকে পলিটি‘শিয়াল’দের হাতে ভোগ করার তুলে দিয়ে আসবে। তারদের কাছে মা বোনদের ইজ্জতের চেয়েও সামাজিক সম্মানটা বড়ো! তাইতো তাদেরকে সাধারণ মানুষ না বলে আমি অসাধারণ মানুষ বলি।
আমাদের সমাজটা সভ্যতায় ভরা, আমি অসভ্য এমন পরিচয় কোথাও পাবেনা। অথচ এই দেশে পাগলীরাও মা হয় অথচ বাবা হয় না কেউ। সবার মাথায় কালো চুল দোষ দিবা কাকে।
0 মন্তব্যসমূহ