ছেলেদের বন্ধুত্ব আসলেই খুবই ভয়ঙ্কর! |
হঠাৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাদের। নিজের মা বাবা মারা যাওয়া এবং জীবিকার তাগিদে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয় এই বন্ধুর। এরপর থেকে আর যোগাযোগ ঠিক রাখা সম্ভব হয়নি। এমনটাই বলেছিলেন কবরের পাশে কাঁদতে কাঁদতে দেখা করতে আসা এই ব্যাক্তি।
এদিকে অপর বন্ধু দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন সে খবরও তার কাছে পৌঁছায়নি। সবকিছু মিলিয়ে প্রায় ৪০ বছর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন তারা। পরে যখন নিজে অবসরে আসলো তখন মনে পড়ল বাল্য বন্ধুর কথা। দেখা করার জন্য মনটা ছটফট করতে ছিল। কিন্তু যোগাযোগের কোন মাধ্যম খুঁজে পাচ্ছেনা।
হঠাৎ তার বন্ধুর এলাকার স্থানীয় এক সাংবাদিকের সাথে তার যোগাযোগ হয়। এবং বিষয়টি তাকে খুলে বললে। সাংবাদিকের সহায়তায় বন্ধুর বাড়িতে পৌঁছাতে সক্ষম হয় এই বন্ধু। কিন্তু ততক্ষণে তিনি অনেক দেরি করে ফেলেছেন এই মানুষটি। বল্য বন্ধুর সাথে আর দেখা করা হলো না, চোখের সামনের বন্ধুর কবর দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লে তিনি।
ইতিমধ্যে, বিষয়টি সকল বন্ধু হৃদয়ে দাগ কেটে গেছে, বন্ধুত্ব কতটা গভীর হলে একজন বন্ধুর জন্য বন্ধু এভাবে অঝোরে কান্না করতে পারে।
ঘটনাটি ঘটেছেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মুন্সিরহাটের কালিবাড়ি এলাকার তালুকদার বাড়িতে। মৃত্যু বন্ধু হলো, চানু তালুকদারের ছেলে সালাউদ্দিন টুকু তালুকদার। আজ থেকে প্রায় ছয় মাস আগে তিনি মৃত্যুবরণ করেন, লোক মুখে শোনা যায় তিনি অত্যন্ত ভালো এবং সহৃদয় ব্যক্তি ছিলেন।
খুঁজতে আসা বন্ধুর মুখেও শোনা যায় বাল্য বন্ধুর গুনকথা, ছোটবেলায় তাকে নানানভাবে সাহায্য করেছে এমনকি তার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পিছনেও তার অবদান অনেক বলে জানিয়েছেন এই বন্ধু।
বর্তমান যুগে উপকারীর উপকারের কথাই স্বীকার করতে চায় না অনেকে। সেখানে এই বন্ধু সম্পূর্ণ বিপরীত, এমনকি অসহায় পরিবারের প্রতি সহানুভূতি ও দেখিয়েছেন এই বন্ধু। এমন বন্ধু পাওয়া সত্যি দুষ্কর বর্তমান যুগে এসে।
দেখা করতে আসা বন্ধুর নাম মাসুদ তিনি এক সময় এই এলাকায় ছিলেন, বর্তমানে তিনি ঢাকায় থাকেন। তার কর্মজীবন পার হয়েছে আমেরিকায়। সেখান থেকে চিঠির মাধ্যমে মাঝেমধ্যে যোগাযোগ করতেন দুই বন্ধু।
এই বন্ধুত্বের বিষয়টি আপনার কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই মতামত জানাতে ভুলবেন না।
0 মন্তব্যসমূহ