বিজ্ঞাপন

নিরবে আজও ডেকে যায় সে আমারে!

দ্বিতীয় পর্ব - ০২

পিচ্চিটা জড়িয়ে ধরে মুখটা উপরে উঠিয়ে বললো,

- ভাবী, কেমন আছো?

ইয়াশকে দেখে আমি পুরো অবাক হয়ে গেলাম। ও এখানে কিভাবে আসলো? তার মানে কি ওর ফেমিলিও আসছে?ওর ভাই আসে নি? মনের মধ্যে সামান্য ধুক্ করে উঠলো।

আমি ইয়াশের মাথার চুলে হাত বুলিয়ে দিয়ে বললাম "ভালো আছি" তারপর চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখলাম ইফাজ এসেছে নাকি! কিন্তু উনাকে দেখতে পেলাম না।

নিরবে আজও ডেকে যায় সে আমারে!
নিরবে আজও ডেকে যায় সে আমারে!

আম্মুকে আমার দিকে আসতে দেখে আমি ইয়াশের হাত ধরে আম্মুর কাছে গেলাম। ইয়াশ লাফিয়ে লাফিয়ে আমার হাত ধরে হাটছে।

আম্মু আমাকে নিয়ে একটু দূরে গিয়ে বললো,

- কাল নাকি ইফাজের সাথে তোর দেখা হয়েছিলো?

- হুম।

- বলিস নি কেনো?

- আমি তখন জানতাম নাকি উনার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়ছে। শিফাপুকে বলার পর আমাকে সব খুলে বলছে।

- ভালো হয়েছে।আমিও অনেকদিন থেকে বলবো বলবো করেও বলা হয় নি।

- ইয়াশ এখানে কিভাবে এলো?

-ওদের ড্রাইভার একটু আগে দিয়ে গেছে। কাল ইয়াশের সাথে তোর দেখা হওয়ার পর থেকে নাকি তোর কাছে আসার জন্য কান্নাকাটি করছিলো। বেয়াই কাল অনেক বুঝিয়ে আজ সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করাতে পেরেছে। সকাল হওয়ার পর থেকে ছটফট শুরু করছে, কখন তোর কাছে আসবে? তোকে সামনাসামনি দেখার জন্য এতোদিন উনাদের নাকি জালিয়ে খেয়েছে। তোকে দেখার জন্য চিটাগাং যাওয়ার জন্যও রাজি হয়েছিলো। ভাবতে পারছিস?

আমি আম্মুর কথা শুনে অবাক হলাম। ইয়াশের দিকে তাকালাম। ও লজ্জা পেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে মুখ লুকালো। আর আম্মু কি সুন্দর করে বেয়াই বললো। কি নরমাল বিফেভ আম্মুর।


ইয়াশ আমার ওড়না একবার আঙ্গুলে পেচাচ্ছে, একবার গলায় পেচাচ্ছে। যাকে কখনো দেখেনি, চিনে না, জানেনা, তার কাছে আসার জন্য কান্নাকাটি করছে! আমি ইয়াশকে কাছে টেনে নিয়ে আসলাম! মায়া কাজ করছে প্রচুর।


আম্মুর দিকে তাকিয়ে বললাম,

- তুমি জানলা কিভাবে কাল যে ইয়াশের সাথে দেখা হয়েছিলো?

- বেয়াই তো ফোন করে এটাই বললো ।

- এতো বেয়াই বেয়াই করছো কেনো?

- বেয়াই কে বেয়াই বলবো নাতো কি বলবো?ভাবী বলবো?

- তুমি আগে থেকেই জানতে এই বিয়ের ব্যাপারটা,তাই না?

- না রে। আমি তো জানলাম ই ছয়মাস আগে।

- ছয়মাস!এতোদিন ধরে জানো আর আমাকে কিছুই বলো নি?

- এমনি তোর পড়াশোনার যেই ছিড়ি।এই কথা যদি তুই এসএসির আগে জানতি পড়াশোনা পুরো গোল্লায় যেতো।

- একবার তো বলতে পারতা।


- আমি অবশ্য একবার লুকিয়ে তোকে সব বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরে তোর আব্বুর কথা মনে করে আর বলি নি। বারবার আমাকে মানা করেছে তোকে না বলতে। তোর পড়াশোনা নিয়ে অনেক টেনশন করে মানুষটা।

- উফ! সবকিছুর মধ্যে পড়াশোনা!

- একটা কথা বলি শোন?

- কি?

- ছেলেটাকে কিন্তু প্রথম দেখাতেই তোর বাবার পছন্দ হয়েছে। আমাকে কিছু মুখ ফুটে বলেনি আজ পর্যন্ত। কিন্তু মাঝে মাঝে হুটহাট আনমোনে ইফাজের প্রশংসা করে।

- তোমার পছন্দ হয় নি?

- অপছন্দ হওয়ার মতো কিছু যে ওর মধ্যে নেই। অনেক ভালো একটা ছেলে। ফেমিলিও অনেক ভালো।

আম্মুর কথা শুনে আমি মিষ্টি একটা হাসি দিলাম।


আম্মু ইয়াশের গালে হাত বুলিয়ে বললো,

- ওকে নিয়ে উপরে যা। বিকেলের দিকে নয়তো সন্ধ্যের দিকে ইফাজ এসে ওকে নিয়ে যাবে।

ইফাজ আসবে শুনে বুকের মধ্যে কেপে উঠলো। আমি ইয়াশকে নিয়ে বাসায় আসলাম।


ইয়াশ বসে বসে গোপাল ভাড় দেখছে। আমি ওর সামনে মিষ্টি, দই, পায়েস, সেমাই, ক্ষীর আরো অনেক আইটেম হাজির করলাম। ও সবগুলো আইটেম এর দিকে তাকিয়ে বললো,

- আমি মিষ্টি খাবার খাই না।

আমি ওর পাশে বসে বললাম,

- সবগুলো ডিস থেকে একচামচ করে খাও। বেশি খেতে হবে না।

- উহুম, এগুলো নিয়ে যাও। আমি পানি খাবো।

- শুধু পানি?

- হুম।

আমি সামনে থেকে খাবারগুলো নিয়ে গেলাম। ওর জন্য পোলাও আর গরুর মাংস ভুনা নিয়ে আসলাম। পানির গ্লাসটা সামনে দিয়ে বললাম...

- নাও, পানি খেয়ে এই প্লেট পুরো খালি করে দাও, তোমার তো মিষ্টি পছন্দ না তাই ঝাল কিছু আনলাম।

- এখন কিছু খাবোনা।আমাকে নিক চ্যানেল বের করে দাও। মটু পাতলু দেখবো।

আমি ওর কাছ থেকে রিমোট নিয়ে নিক চ্যানেল বের করে ওর পাশে বসলাম। তারপর এক লোকমা ওর মুখের সামনে ধরে বললাম,

- নাও, হা করো।

ইয়াশ আমার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে হা করলো। মটু পাতলু দেখছে আর খাচ্ছে। এর আগে কখনও এভাবে কাউকে খাইয়ে দেই নি।নিজেকে কেমন যেনো বড় বড় মনে হচ্ছে!


আমি আর ইয়াশ নিচে নেমে সবার সাথে গায়ে হলুদের আয়োজনে যোগ দিলাম। ইয়াশ আমার হাত একমুহূর্তের জন্যও ছাড়েনি। পাশে এ্যাপার্টমেন্টের অনেক পিচ্চি খেলা করছিলো। ওদের সাথে খেলতে বললাম কিন্তু সে আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না। আমি সামান্য হলুদ নিয়ে ইয়াশের গালে লাগিয়ে দিলাম। ইয়াশও হলুদ নিয়ে আমার দুইগালে লাগিয়ে দিলো।


ক্যামেরাম্যানরা বিভিন্ন এ্যাঙ্গেল এ আমাদের ছবি তুললো। ইয়াশের সাথে প্রায় অর্ধেকের বেশি ছবি তুলেছি। এক একটা ছবিতে এক একটা পোজ দিয়েছি আমি আর ইয়াশ। অনেকগুলো ক্যান্ডিড পিকও আছে। আমি ঘাসের উপর বসে আছি পেছন থেকে ইয়াশ আমার গলা জড়িয়ে ধরে মুখে বিশ্বজয়ের হাসি। আরেকটা আমার হলুদমাখা গালের সাথে ওর হলুদমাখা গাল লাগানো, দুজনের মুখেই হাসি।অন্য একটাতে আমি ইয়াশকে পাচকোলে করে নিয়ে আছি, ও আমার গলা জড়িয়ে ধরে গালে কিস করছে আর আমি চোখদুটো গভীরভাবে বন্ধ করে আছি। দুদিনেই ওর সাথে এতটা গভীরভাবে মিশতে পারবো কখনোই ভাবতে পারিনি।


বিকেলের দিকে ইয়াশ আমাকে বললো,

- ভাবী, ওয়াশরুমে যাবো।

আমি ইয়াশকে নিয়ে বাসায় আসলাম। ওকে ওয়াশরুম দেখিয়ে দিয়ে আমি সোফায় বসে টিভি দেখছিলাম।মাথাটা প্রচুর ধরেছে। ইয়াশ ওয়াশরুম থেকে এসে সোজা আমার কোলে মাথা রেখে সোফায় শুয়ে পড়লো। আমি একহাত দিয়ে ওর চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলাম আর অন্য হাতে রিমোট ছিলো।


অনেকক্ষণ পর ইয়াশের দিকে তাকিয়ে দেখি ও ঘুমিয়ে পরেছে। আমি ভাবলাম ও এতক্ষণ চুপচাপ টিভি দেখছিলো। আমি ওকে কোলে করে নিয়ে আমার রুমে শুইয়ে দিলাম। বাইরে মাগরিবের আযান দিচ্ছে। ড্রয়িংরুমে আমার ফোন বাজতেই ড্রয়িংরুমে যেয়ে ফোন রিসিভ করলাম। শিখাপু ফোন করেছে!কিছুটা অবাক হলাম। নিচ থেকে আমাকে ফোন করেছে।

- হুম বলো।

- ইফাজ আসছে। সবার জন্য ইয়া বড় বড় চকলেট বক্স আনছে। সব চাচ্চুর সাথে হাগ করতেছে এখন। কি হ্যান্ডসাম!যাস্ট স্পিসলেস! আরিফের সাথে যদি রিলেশন না থাকতো তুই শিওর থাকতি এই ছেলেকে যেভাবেই হোক পটিয়ে আমার বশে আনতাম। সেটা কালো যাদুও হতে পারত!...কথাটা বলেই আপু হাসছে।


ইফাজ আসছে শোনার পরই বুকের ভিতর কেপে উঠলো। কাপাঁ কাপাঁ কন্ঠটা নরমাল করে আপুকে বললাম,

- এভাবে পরপুরুষের দিকে নজর দিতে লজ্জা করেনা? পাপ হবে পাপ।

- বারবার চোখ যাচ্ছে।মিমির তো দুলাভাই বলতে ভীষন কষ্ট হচ্ছে।

- মানে?

- এইরকম একটা হ্যান্ডসাম ম্যান ওর লাইফ পার্টনার হবে, এই সপ্নই তো এতকাল ধরে দেখে এসেছে।

- আমার সবগুলো বোন যে এরকম লুচু হবে ভাবতেই পারিনি। লুচ্চে কোথাকার।

আমার কথা শুনে আপু জোরে জোরে হাসছে।


- ওকে উপরে পাঠিয়ে দিচ্ছে চাচ্চু। তাড়াতাড়ি আয়নার সামনে যা।

- আয়নার সামনে যাবো মানে?

- আরে বুদ্ধু! এখন তো ইয়াশকে নিতে তোর কাছেই যাচ্ছে। নিজেকে আয়নায় দেখে নে একবার সব ঠিক আছে নাকি। পাগল কোথাকার!

- ওতো আয়না দেখা লাগবে না।

- ঢং। আমি না বললেও তুই আয়নার সামনে একবার যাইতি।

আমি ফোনটা কেটে দিলাম। মেইন ডোর লাগিয়ে দৌড়ে আমার রুমে আসলাম। বুকের ভেতর প্রচন্ড বেগে কিছু একটা দৌড়াচ্ছে!

আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে একবার দেখে নিলাম।

বুকে একহাত দিয়ে নিজেকে নরমাল করার চেষ্টা করছি। জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছি। কোনোভাবেই নিজেকে নরমাল করতে পারছি না। ইস! ইয়াশটা জেগে থাকলে ভালো হতো।


উনি একা আসবে নাকি কেউ সঙ্গে করে নিয়ে আসবে? উনি যদি একা আসে কিভাবে কথা শুরু করবো? উফ! এতো কেনো টেনশন করছি আমি! আসুক না আগে!

অনবরত পায়চারী করছি। হঠাৎ কলিংবেল বেজে উঠলো।আমি শেষ! ইয়াশকে আস্তে করে দুবার ডাকলাম। উঠলো না।এদিকে আমার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে। ওড়নাটা মাথায় দিয়ে মেইনডোরের সামনে গিয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস নিয়ে দরজা খুললাম।


ওহ্ মাই গড! এত্তো সুন্দর কেনো ছেলেটা!কত্ত লম্বা! গোল্ডেন কালার একটা পান্জাবী পরা। কলার থেকে একপাশের বুক পর্যন্ত কাজ করা। বাম হাতে হ্যান্ডওয়াচ পরা! অসম্ভব সুন্দর লাগছে উনাকে! এমনি এমনি তো আমার বোনরা ওকে দেখে লুচু হয়নি। উনি আমাকে দেখেই সানগ্লাসটা খুলে মুচকি একটা হাসি দিলো। আমি হেসে সালাম দিলাম। উনি উত্তর দিলেন।উনাকে ভেতরে আসতে বললাম।

আমার হাত পা কাপছে। উনাকে কি বলবো কিছুই ভেবে পাচ্ছিনা। মেইনডোর লাগিয়ে কোনোরকমে বললাম,

- বসুন।

উনি সোফায় বসে আশেপাশে তাকিয়ে বললেন,

- ইয়াশ কোথায়?

- ওতো আমার রুমে ঘুমোচ্ছে।

উনি অবাক হয়ে আস্ক করলো,

- মানে?

- সারাদিন অনেক হৈ চৈ করার পর ক্লান্ত ছিলো। বাসায় এসে টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পরেছে।

- এই টাইমে ঘুম! মানা করতে পারতে।

ইস! এমনভাবে আহ্লাদী সুরে কথাগুলো বলছে মনে হচ্ছে বিয়ে করা বউয়ের সাথে কথা বলছে।

- ও আমার কোলে শুয়ে শুয়ে টিভি দেখছিলো কখন ঘুমিয়ে পরেছে খেয়াল করি নি। পরে আর ডাকি নি।

- ওহ্।

- আপনি একটু বসুন। আমি আসছি।

উনি আমার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে হুম বলে অনুমতি দিলো।


আমি আমার রুমে এসে আম্মুকে ফোন দিলাম। ওহ্ সিট!আম্মুর ফোন আম্মুর রুমে রিং হচ্ছে। তাড়াতাড়ি কল কেটে শিখাপুকে ফোন দিলাম।কয়েকবার কল দেওয়ার পরও ধরলো না। উফ! কাজের সময়ই মানুষ অমানুষের মতো বিহেভ করে। যত্তসব! হাত প্রচন্ডভাবে কাপাকাপি করছে।আব্বুকে ফোন দিলাম। রিং হচ্ছে....

- হ্যালো কে?

উফ! আব্বুটাও হয়েছে। ওলওয়েজ কে কল দিলো সেটা না দেখেই রিসিভ করে।

- আব্বু, আমি। আম্মুকে একটু ফোনটা দাও।

- দাড়া দিচ্ছি।


- হুম বল।

- আম্মু একটু আসো না উপরে।

- কেনো? তোদের প্রাইভেসি দিলাম কথা বলার জন্য। আর তুই উপরে যেতে বলছিস।

- আমার প্রাইভেসির দরকার নেই। আমার অনেক আনইজিফিল হচ্ছে। সামনে যেয়ে কথাও বলতে পারছি না।উনাকে কি দিবো না দিবো বুঝতে পারছি না।

- ওয়েট, ওয়েট। উল্টাপাল্টা কিছু করিস না। আমি আসছি।

- তাড়াতাড়ি আসো।

আমি ফোনটা কেটে দিয়ে ইয়াশের দিকে তাকালাম। নিরালায় ঘুমোচ্ছে ছেলেটা। আমি চুপচাপ বেডের উপর বসে পা নাচাতে লাগলাম। কিছুক্ষন পর কলিংবেলের শব্দ পেলাম আম্মু এসেছে মনে হয়। উফ! বাচলাম!


উনি সোফার সাথে হেলান দিয়ে পা দুটো লম্বা করে বসে বসে টিভিতে নিউজ দেখছিলো।৷ চোখাচোখি হতেই উনি কিউট করে একটা হাসি দিয়ে বললো,

- উঠেছে?

- কে?

- ইয়াশ।

আমি এখন কি উত্তর দিবো। আমি তো ইয়াশকে ডাকতে বা উঠাতে যাই নি। কোনোরকমে "না" বলে মেইনডোর খুললাম।আম্মুকে দেখেই উনি উঠে সালাম দিলেন। আম্মুকে আশেপাশে তাকিয়ে বললো,

- ইয়াশ কই?

- ও আমার রুমে ঘুমোচ্ছে।

আম্মু ভ্রু কুচঁকে চোখদুটো একদম ছোট ছোট করে আমার দিকে তাকালো। আমি অসহায়ভাবে আম্মুর দিকে তাকিয়ে ইশারায় বুঝালাম এই কারনেই আনইজিফিল করছি আম্মু।


আম্মু আমাদের দুজনকে উদ্দশ্য করে বললো,

- তোমরা বসে গল্প করো।আমি একটু আসছি।

আম্মু কিচেনের দিকে গেলো। আমি কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। নিজের রুমের দিকে পা বাড়াতেই চুলে টান লাগলো। আমি "আহ্" করে সামান্য আওয়াজ করলাম। ডান হাত দিয়ে মাথার পেছনের দিকে ধরে পেছনে তাকালাম। উনি ঠোঁটে দুষ্টু হাসির রেখা টেনে উনার হাতের সাথে আমার চুল পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে একদম উনার কাছে নিয়ে যাচ্ছে।


(চলবে)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

মেয়ে পরীক্ষার হলে, বাইরে অপেক্ষারত মায়ের মৃত্যু